শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
চট্টগ্রামে প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে দুই কিশোরীকে দেহব্যবসায় বাধ্য করে একটি চক্র। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-তে কল করে এক ব্যক্তি এ তথ্য জানান। পরে ভুক্তভোগী দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
রোববার (৩০ মে) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টায় চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার মামাতো বোনকে গত ১৭/১৮ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা এ কয়দিন অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো খোঁজ পাননি। তার মামা কুমিল্লার মুরাদনগরের অধিবাসী, যিনি এখন চট্টগ্রামে রিকশা চালান। আধা ঘণ্টা আগে তারা খবর পেয়েছেন তার মামাতো বোনকে ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার সাতাশ নম্বর সড়কের চুয়াত্তর নম্বর বাড়িতে আটকে রেখে খারাপ কাজ করানো হচ্ছে। তার মামাতো বোনের অনুরোধে এক সহৃদয় ব্যক্তি তাকে ফোন করে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।
আনোয়ার সাত্তার আরও বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ডবলমুরিং থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে ডবলমুরিং থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
পরে ভোর সাড়ে তিনটায় ডবলমুরিং থানার এস আই মাহবুব রাব্বানি অপু ৯৯৯-তে ফোন করে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িটিতে অভিযান ও তল্লাশি চালিয়ে নিচতলা থেকে কলারের মামাতো বোনসহ দুই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তাদের জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানজিনা আক্তার (৩৫) নামে পাচারকারী চক্রের এক নারী ও দুই খদ্দেরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।